সিলেটের সাবেক মেয়র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদর উদ্দীন আহমেদ কামরান (৬৭) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেক। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন জননেতা। সিলেটের মতোন ডান ঘেষা, আধ্যাত্বিক পুন্যভুমিতে আওয়ামী লীগের দুর্দিনে তিনি বার বার ভোটে জিতে প্রমাণ করেছিলেন দলীয় পরিচয়ের বাইরে ব্যক্তি কামরানের ক্যারিশমা। সিলেট নগরীতে এক দশক আগেও সবচেয়ে জনপ্রিয়, নন্দিত নেতার নাম ছিল মেয়র বদর উদ্দীন আহমেদ কামরান। দল মত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ তাকে ভালবাসত, ভরসা রাখত তার উপর। তিনিও মানুষকে ভালবাসতে জানতেন। ছাত্রলীগ থেকে ৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র অবস্থায় দেশের সর্বকনিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার, পরে সিলেট পৌর চেয়ারম্যান ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন তিনি।
প্রয়াত সুরঞ্জি সেনগুপ্ত, মরহুম স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, আবদুস সামাদ আজাদের পর সিলেট বিভাগের আওয়ামী পরিবার আজ গত তিন দশকের এক তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়, বিনয়ী ও মিডিয়া বান্ধব নেতা কে হারাল। দেশ সত্যিকারভাবে একজন প্রতিশ্রুতিশীল ও উদীয়মান নেতাকে হারালো। সিলেটের রাজনীতিতে, বিশেষত আওয়ামী ঘরানায় কামরানের শুন্যস্থান বহুকাল হয়ত শুন্যই থেকে যাবে। তিনি আজ ভোরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তার চলে যাওয়া দলের জন্য অপুরনীয় ক্ষতি হলো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি ছিলেন একজন অগ্রসৈনিক। জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে তার কর্মের মূল্যায়ন করবেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
ডা. এস এ মালেক মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
বার্ত প্রেরক
আনন্দ কুমার নেন
মিডিয়া উইং